Category: about

  • The Braveheart of Dairy Farm Gate

    The Braveheart of Dairy Farm Gate

    The Braveheart of Dairy Farm Gate

    The summer of 1971 was searing, not just from the heat but from the anguish of a nation under siege. The air near Jahangirnagar University was thick with the smell of gunpowder and the cries of freedom fighters echoing through the lush greenery. Among them was Titu, a young and courageous soul, barely 20, whose fiery spirit had made him a beacon of hope in the fight for liberation.

    Titu was a student from a nearby village, well-known for his charisma and unwavering belief in an independent Bangladesh. When the war began, he left his books behind and joined the Mukti Bahini. The rolling fields and winding paths around Jahangirnagar became his battlefield, the place he vowed to defend with his life.

    The Last Mission

    By early December, the Mukti Bahini had received word that a convoy of the occupying forces was moving toward Savar to strengthen their hold on the Dhaka outskirts. The strategic Dairy Farm Gate near Jahangirnagar University had to be secured at all costs. Titu and his comrades, armed with outdated rifles and makeshift grenades, planned an ambush.

    Titu knew the terrain well. The tall eucalyptus trees and the shimmering waters of the nearby lake provided natural cover. As dusk fell, the freedom fighters took their positions. The silence of the night was broken only by the distant hum of enemy trucks. Titu’s heart pounded, not with fear but with determination.

    The Battle

    The first truck appeared, headlights piercing the darkness. Titu gave the signal, and the ambush began. Gunfire erupted, cutting through the still night. The Mukti Bahini fighters, though outnumbered and outgunned, fought with ferocity. Titu, leading from the front, threw a grenade that struck a jeep carrying high-ranking officers, halting the convoy.

    The enemy retaliated fiercely. Bullets ricocheted off the rocks and trees, and the air filled with smoke and cries. Titu’s comrades began to fall, one by one, but he held his ground. His eyes were set on the flag of Bangladesh tied to his rifle, a symbol of the freedom they were fighting for.

    The Final Stand

    As reinforcements arrived for the enemy, the Mukti Bahini fighters were forced to retreat. But Titu refused to leave. “If we give up this gate, they’ll march straight to Savar,” he shouted to his comrades. He positioned himself near the Dairy Farm Gate, his rifle aimed at the advancing soldiers.

    The last rays of the sun lit up his face as he fired his final shots. A bullet struck his shoulder, but he kept fighting. Another hit his leg, and he fell to the ground. Yet, even as his life ebbed away, Titu dragged himself to a tree and aimed one last grenade at the enemy. It exploded with a deafening roar, halting their advance.

    Titu’s lifeless body lay under the shade of the eucalyptus trees, the flag of Bangladesh still clenched in his hand.

    The Legacy

    When dawn broke the next day, the people of nearby villages came to know of Titu’s sacrifice. They carried his body to a small hill near Jahangirnagar University, burying him with honor. The Dairy Farm Gate became a symbol of resistance, its soil soaked with the blood of a young hero.

    Titu’s story spread like wildfire, inspiring others to join the fight. His name became a rallying cry for freedom, a reminder of the price paid for an independent Bangladesh.

    Even today, near the Dairy Farm Gate of Jahangirnagar University, locals speak of Titu—the boy who gave his all for his country. The wind through the eucalyptus trees carries his name, a whisper of courage, sacrifice, and undying love for the motherland.

    ডেইরি ফার্ম গেটের বীরযোদ্ধা

    ১৯৭১ সালের গ্রীষ্ম ছিল অসহ্য, শুধু তাপমাত্রার জন্য নয়, বরং একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির যন্ত্রণা এবং লড়াইয়ের জন্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা তখন বারুদ আর মুক্তিযোদ্ধাদের গর্জনে ভরপুর। সেইসব মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন টিটু—a যুবক, মাত্র ২০ বছর বয়সী, যার সাহস এবং প্রত্যয় তাকে স্বাধীনতার লড়াইয়ের এক অগ্নিস্ফুলিঙ্গে পরিণত করেছিল।

    টিটু ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গ্রামের এক ছাত্র। তার নেতৃত্ব আর বাংলাদেশকে মুক্ত করার দৃঢ় বিশ্বাস তাকে সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছিল। যুদ্ধ শুরু হলে তিনি বই-খাতা ফেলে রেখে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। জাহাঙ্গীরনগরের সবুজ মাঠ আর আঁকাবাঁকা পথগুলো তার যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে, যেখানে তিনি প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন।

    শেষ মিশন

    ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিবাহিনী জানতে পারে যে দখলদার বাহিনীর একটি কনভয় সাভারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি ফার্ম গেট ছিল কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি রক্ষা করা ছিল অপরিহার্য। টিটু এবং তার সহযোদ্ধারা পুরনো রাইফেল আর হাতে বানানো গ্রেনেড নিয়ে একটি অ্যাম্বুশ পরিকল্পনা করেন।

    টিটু এলাকার প্রতিটি বাঁক ভালোভাবে চিনতেন। ইউক্যালিপটাস গাছের সারি আর পাশের লেকের জল তাদের আড়াল হিসেবে কাজ করেছিল। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা নিজেদের অবস্থান গ্রহণ করেন। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে যায় শত্রুদের ট্রাকের শব্দে। টিটুর হৃদয় বেজে ওঠে, কিন্তু সেটি ছিল ভয়ের নয়, বরং দৃঢ়তার।

    যুদ্ধ

    প্রথম ট্রাকটি দেখা যেতেই টিটু ইশারা দিলেন, এবং অ্যাম্বুশ শুরু হলো। গুলি আর বারুদের শব্দে রাত ভরে ওঠে। মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধারা সংখ্যায় কম এবং অস্ত্রে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও অসীম সাহসে যুদ্ধ করলেন। সামনের সারিতে থাকা টিটু একটি গ্রেনেড ছুড়ে শত্রুদের একটি জিপ ধ্বংস করলেন, কনভয়ের অগ্রগতি থামিয়ে দিলেন।

    শত্রুপক্ষ পাল্টা আক্রমণ চালায়। গুলি পাথর আর গাছে লেগে ছিটকে পড়ে, এবং বাতাস ধোঁয়া আর চিৎকারে ভরে যায়। একে একে টিটুর সহযোদ্ধারা শহীদ হন, কিন্তু তিনি নিজের অবস্থান ছাড়েননি। তার চোখ ছিল তার রাইফেলে বাঁধা বাংলাদেশের পতাকার দিকে, যা তাদের লড়াইয়ের প্রতীক।

    শেষ লড়াই

    যখন শত্রুপক্ষের আরও সৈন্য আসে, তখন মুক্তিবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু টিটু থেকে যান। তিনি বলেন, “যদি আমরা এই গেট ছেড়ে দিই, তারা সরাসরি সাভারে পৌঁছে যাবে।” তিনি ডেইরি ফার্ম গেটের কাছে নিজের অবস্থান নেন, তার রাইফেল শত্রুদের দিকে তাক করা।

    শেষ বিকেলের সূর্যের আলো তার মুখ আলোকিত করে, যখন তিনি শেষ গুলি ছোঁড়েন। একটি বুলেট তার কাঁধে লাগে, কিন্তু তিনি লড়াই চালিয়ে যান। আরেকটি বুলেট তার পায়ে আঘাত করে, এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান। তবুও, জীবনের শেষ শক্তি দিয়ে, টিটু নিজেকে একটি গাছের পাশে টেনে নিয়ে যান এবং একটি গ্রেনেড ছুঁড়ে দেন। গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়ে শত্রুদের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়।

    ইউক্যালিপটাস গাছের ছায়ায় টিটুর নিথর দেহ পড়ে থাকে। তার হাতে তখনও শক্তভাবে ধরা বাংলাদেশের পতাকা।

    উত্তরাধিকার

    পরের দিন সকালে, আশপাশের গ্রামের মানুষ টিটুর আত্মত্যাগের কথা জানতে পারেন। তারা তার দেহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি এক ছোট্ট টিলায় সম্মানের সাথে সমাহিত করেন। ডেইরি ফার্ম গেট প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠে, যেখানে এক যুবকের রক্ত মিশে আছে।

    টিটুর গল্প দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, আরও অনেককে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করে। তার নাম হয়ে ওঠে স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের মন্ত্র, একটি জাতির মুক্তির জন্য দেয়া সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্মারক।

    আজও, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি ফার্ম গেটের কাছে স্থানীয়রা টিটুর গল্প বলেন। বাতাসে ইউক্যালিপটাস গাছের পাতার ফিসফিসে ধ্বনি টিটুর নাম বয়ে আনে। সেই নাম আজও সাহস, আত্মত্যাগ এবং মাতৃভূমির প্রতি অমর ভালোবাসার প্রতীক।

  • Jahangirnagar University alumni worldwide

    Jahangirnagar University alumni worldwide


    The exact number of Jahangirnagar University alumni worldwide, as well as in Bangladesh, the USA (specifically New York), and Canada, is not readily available from public data sources. However, based on general trends and alumni network activities:

    1. Bangladesh:

    The majority of Jahangirnagar University alumni reside in Bangladesh, as it is the institution’s home country. Most alumni are likely based in Dhaka and other major cities, contributing to various sectors like education, government, private industries, and non-profits.

    2. USA (including New York):

    Jahangirnagar University has an active alumni presence in the USA, particularly in New York, where organizations like the Jahangirnagar Alumni Association of America (JAAA) are active. New York has a significant concentration of Bangladeshi expatriates, which includes a notable number of alumni.

    3. Canada:

    There is also a growing alumni presence in Canada, primarily in cities like Toronto and Vancouver, where many Bangladeshi professionals and families have settled.

    4. Global:

    Alumni are scattered across various countries, including the UK, Australia, the Middle East, and parts of Europe, forming smaller but active communities.

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সঠিক সংখ্যা এবং বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র (বিশেষ করে নিউ ইয়র্ক) এবং কানাডায় তাদের বিস্তৃতির তথ্য পাবলিক ডেটা থেকে সহজে পাওয়া যায় না।

    ১. বাংলাদেশ:

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশেই বসবাস করেন, কারণ এটি তাদের নিজ দেশ। বেশিরভাগই সম্ভবত ঢাকাসহ অন্যান্য প্রধান শহরে অবস্থান করছেন এবং শিক্ষা, সরকার, বেসরকারি খাত এবং এনজিওতে অবদান রাখছেন।

    ২. যুক্তরাষ্ট্র (নিউ ইয়র্ক সহ):

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের যুক্তরাষ্ট্রে, বিশেষ করে নিউ ইয়র্কে, উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা (JAAA)-র মতো সংস্থাগুলি সেখানে সক্রিয়। নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি প্রবাসীদের বড় একটি অংশ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী অন্তর্ভুক্ত।

    ৩. কানাডা:

    কানাডাতেও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষত টরন্টো এবং ভ্যাঙ্কুভার শহরে, যেখানে অনেক বাংলাদেশি পেশাজীবী এবং পরিবার বসবাস করছেন।

    ৪. বিশ্বব্যাপী:

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছেন। এরা তুলনামূলকভাবে ছোট কিন্তু সক্রিয়।

  • পিঠার প্লেট

    পিঠার প্লেট

    ঝরা পাতার কাব্য: পিঠার কারিশমা

    JAAA-এর “ঝরা পাতার কাব্য” জানালো শীতের আগমনী বার্তা। গরম গরম পিঠার সুগন্ধ; যেন সবাইকে টেনে নিয়ে এসেছিল ভেন্যুর পিঠা স্টলে। বিশেষ আকর্ষণ ছিল অন স্পট ভাপা পিঠা। ঘটনার এমন পরিহাস, হঠাৎ করেই শুরু হলো এক অবিশ্বাস্য ঘটনা—ভাপা পিঠা একের পর এক অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে!

    শুরুতে কেউ কিছু বুঝতে পারছিল না। ভেবেছিল, হয়তো পিঠা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আয়োজকদের তো স্পষ্ট মনে আছে, অনেকগুলো পিঠা রাখা হয়েছিল। একজন আক্ষেপ করে বললেন, “এই মাত্র আমার জন্য একটা ভাপা পিঠা প্লেটে রেখেছিলাম, ফিরে দেখি শুধু প্লেট আছে, পিঠা নেই!”

    আরেকজন বললেন, “আমি তো পিঠা নিতেই যাচ্ছিলাম, কিন্তু দেখলাম পুরো টেবিল ফাঁকা। এটা কিভাবে সম্ভব?” পিঠা উধাও ঘটনাটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলো। একজন আয়োজক মজা করে বললেন, “হয়তো পিঠার এতই জনপ্রিয়তা হয়েছে যে তারা নিজেরাই উড়ে গেছে!”

    একজন উপস্থিত শিশুর চোখে হাসির ঝিলিক। সে বলল, “আমার মনে হয় কেউ চুরি করেছে!” শিশুটির সরল কথা সবাইকে ভাবিয়ে তুলল। কয়েকজন মজা করে অনেক পিঠা পেলেন, আর এতে বাকিদের জন্য পিঠা শেষ হয়ে গেল।

    কয়েকজন উৎসুক খোঁজাখুঁজির পর  আবিষ্কার করলো টেবিলের নিচে পিঠা সংরক্ষণ পদ্ধতি ! তারা ভাবেননি যে এই কাজটি পুরো অনুষ্ঠানের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

    আমাদের ছোটো কাজগুলোরও বড় প্রভাব থাকতে পারে।

  • JAAA event update

    JAAA event update

    আমাদের গল্প গুলো হলুদ পাতায় ঝরে পরে 

    আমাদের গল্প গুলো লাল – কমলা রঙে উড়ে 

    পাতা ঝরার সময় এলেই মনটা উদাস হয়ে পড়ে, মন চলে যায়  অতীতে, আমাদের প্রিয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। 

    JAAA এর এবারের আয়োজন “ঝরা পাতার কাব্য” ।

    বাতাসে বইছে নবান্নের ছোঁয়া… শীতের আগমনী বার্তা মনে করিয়ে দেয় ক্যাম্পাসে হরেক রকম পিঠা খাওয়ার দিনগুলিকেও।  তাইতো এবারের আয়োজনে পিঠা-পুলি একটি অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। সাথে আরো থাকবে একসাথে দুপুরের খাওয়া, গলা ছেড়ে গান গাওয়া, চা, অফুরন্ত আড্ডা, স্মৃতিচারণ, নাচ, ফ্যাশন শো ……. 

    রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন চট জলদি। 

    পরিবার $১০০ এবং একক $৫০.

    PayPal এর মাধ্যমে jalumni.usa@gmail.com

    Or 

    নিম্নোক্ত Zelle নাম্বারে টাকা পাঠাতে অনুরোধ করা হলো। 

    Shamimara Begum ৬৪৬ ৬৮৩ -৭৯৪২

    Zubair Hussni Fahad ৯২৯ ২১৯ -৮৫৬৮

    প্রশান্ত মল্লিক অয়ন, ৯২৯ ২৫৬-৯৭৯৫  

    দেখা হবে সবার সাথে আবারো। 

    তারিখ : ১১/২৪/২০২৪ , রবিবার 

    সময়: দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা

    ভেন্যু: 217 Bethpage road, hicksville ny 11801

    Apna Bazar, 2nd floor

    ধন্যবাদান্তে

    শামীমআরা বেগম, প্রেসিডেন্ট

    তামান্না শবনম পাপড়ি, সেক্রেটারি

  • ক্যাম্পাস জীবনের গল্প

    ক্যাম্পাস জীবনের গল্প

    অনেক দিন আগের কথা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণবন্ত ক্যাম্পাসে কিছু দুষ্টু বন্ধু ছিল, যারা ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণ ঘুরে বেড়াত। তারা নিজেদের নাম দিয়েছিল “ভ্যানতারা স্কোয়াড”, কারণ তাদের প্রিয় জায়গা ছিল বড় লেকগুলোর পাশে, যেখানে সারাদিন হাঁস আর রাজহাঁস সাঁতার কাটত।

    একদিন ভ্যানতারা স্কোয়াডের মাথায় দুষ্টুমি করার বুদ্ধি এলো। তাদের বন্ধুর নাম ছিল রফিক, যে বেশি ঘুমাতে ভালোবাসত এবং ক্লাসের চেয়ে ডরমিটরিতে শুয়ে থাকতে বেশি পছন্দ করত। তারা লক্ষ্য করল, রফিক প্রতিদিন দেরিতে ওঠে এবং প্রায়ই ক্যান্টিনে সকালের নাস্তা মিস করে। তাই তারা ঠিক করল, রফিককে একদিন জোর করে সকালে জাগিয়ে তুলতে হবে।

    ঢেঁকির অ্যালার্ম ঘড়ি

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস তার প্রকৃতি, লেক, এবং বিশেষ এক জায়গার জন্য বিখ্যাত— বোটানিক্যাল গার্ডেন। ট্রান্সপোর্ট অফিসের সুপারি বাগানের ভেতরে ছিল একটি পুরনো ঢেঁকি, যা একসময় চাল গুঁড়ো করার জন্য ব্যবহার করা হতো, তা আজকে বিলুপ্ত ঐতিহ্য। ভ্যানতারা স্কোয়াড ঠিক করল, এই ঢেঁকিটা রফিকের ডরমিটরির সামনে নিয়ে গিয়ে অ্যালার্ম ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করবে!

    রাতে তারা চুপিচুপি ঢেঁকিটা টেনে নিয়ে গেল রফিকের জানালার সামনে। ঢেঁকির সাথে তারা কিছু দড়ি বাঁধল, যাতে সকালের দিকে ঢেঁকি নাড়ানো যায়। পরদিন সকালে, মোরগের ডাক বা ঘড়ির রিংটোনের বদলে, রফিক জেগে উঠল এক বিশাল “ঢাং! ঢাং! ঢাং!” শব্দে।

    রফিকের আতঙ্ক

    রফিক বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠল। তার মনে হলো ভূমিকম্প হয়েছে! সে জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখল তার বন্ধুরা ঢেঁকি চালানোর ভান করছে। “হয় হয়! এটা কী হচ্ছে?!” সে ঘুম ঘুম চোখে চিৎকার করে বলল।

    বন্ধুরা বলল, “রফিক, এটা তোমার জন্য বিশেষ দিন! আমরা তোমার জন্য পিঠার চাল গুঁড়ো করছি। এসো, আমাদের সাথে যোগ দাও!”

    এখনো বিভ্রান্ত, রফিক পাজামা পরা অবস্থায় বাইরে দৌড়ে গেল। বন্ধুরা তাকে একটি কাঠের লাঠি দিল এবং ঢেঁকি চালানোর ভান করতে বলল। রফিক ঢেঁকি ঠেলে ঠেলে চালাতে লাগল, আর বন্ধুরা ছবি তুলে হাসতে লাগল। “রফিক, তুমি তো একেবারে ঢেঁকি নাচ শিখে ফেলেছ!” তারা মজা করল।

    পিঠা পার্টি

    শেষ পর্যন্ত দুষ্টুমি এক মজার সকালে পরিণত হলো। ভ্যানতারা স্কোয়াড সত্যি সত্যি চালের গুঁড়ো দিয়ে পিঠা বানাল এবং লেকের পাশে বসে একসাথে খাওয়া শুরু করল। তারা হাঁস আর রাজহাঁসকেও পিঠার টুকরা খাওয়াল।

    সেই দিন থেকে রফিক ক্যাম্পাসে “ঢেঁকিকিং রফিক” নামে পরিচিত হয়ে গেল। যখনই কেউ বেশি ঘুমিয়ে থাকত বা অলসতা করত, রফিক মজা করে বলত, “আমাকে কিন্তু তোমার জানালার সামনে ঢেঁকি আনতে বলো না!”

    গল্পের শিক্ষা

    ক্যাম্পাস জীবন শুধু ক্লাস আর পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা বন্ধুত্ব, হাসি, আর এমন স্মৃতি তৈরির জায়গা, যা সারাজীবন মনে থাকে। আর দেখলে তো, এমনকি একটি পুরনো ঢেঁকিও মজার একটি অ্যাডভেঞ্চারের জন্য বন্ধুদের একত্র করতে পারে! তোমরা কি একদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাও? হয়তো তোমরাও ঢেঁকি নাচ শিখে নেবে!

    A Story from Jahangirnagar University Campus Life

    On the vibrant campus of Jahangirnagar University, a mischievous group of friends explored every corner. They called themselves the “Vantara Squad” because their favorite spot was near the large lakes where ducks and swans swam all day.

    One day, the Vantara Squad devised a mischievous plan. Among them was a friend named Rafiq, who loved to sleep and preferred lounging in the dormitory over attending classes. They noticed that Rafiq often woke up late and missed breakfast at the canteen, so they decided to wake him up in a special way one morning.

    The Alarm Clock Dheki

    The Jahangirnagar University campus is famous for its natural beauty, lakes, and a unique spot—the Botanical Garden. Hidden within the palm grove near the transport office was an old Dheki (a traditional rice-pounding tool) that had once been used to grind rice into flour. It was a relic of a bygone era. The Vantara Squad decided to turn this Dheki into an alarm clock for Rafiq!

    They quietly dragged the heavy Dheki to Rafiq’s dormitory window late at night. They tied some ropes to move it from a distance in the morning. Instead of the usual rooster’s crow or alarm clock ringtone the next day, Rafiq was jolted awake by a loud “Dhang! Dhang! Dhang!”

    Rafiq’s Panic

    Rafiq jumped out of bed, thinking there was an earthquake. He peeked out the window and saw his friends pretending to operate the Dheki. “What on earth is happening?!” he shouted groggily.

    The friends laughed and said, “Rafiq, today is a special day! We’re grinding rice flour to make cakes for you. Come join us!”

    Still confused, Rafiq ran outside in his pajamas. They handed him a wooden stick and asked him to help operate the Dheki. As Rafiq pushed and pulled the heavy wooden beam, his friends took pictures and laughed. “Rafiq, you’ve mastered the art of the dancing!” they teased.

    The Pitha Party

    In the end, the prank turned into a delightful morning. The Vantara Squad used ground rice to make delicious Pithas(traditional Bangladeshi cakes) and sat by the lake, enjoying them together. They even fed crumbs to the ducks and swans.

    From that day on, Rafiq became known on campus as “Dheki King Rafiq.” Whenever someone overslept or got lazy, Rafiq would jokingly say, “Don’t make me bring the dheki to your window!”

    Moral of the Story

    Campus life isn’t just about classes and exams—it’s about friendship, laughter, and creating memories that last a lifetime. Even something as old and simple as a deli can bring people together for a fun adventure!

    Would you like to visit Jahangirnagar University someday? Who knows, you might even learn the art of Dheki dancing!

  • Jabian network in New York

    Jabian network in New York

    The Jahangirnagar Alumni Association of America (JAAA) is dedicated to fostering a supportive and engaged community of Jahangirnagar University alumni residing in the United States. Our mission is to enhance socio-economic understanding between America and Bangladesh through continuous interaction, support alumni in their professional and personal development, and preserve Bengali cultural heritage. Our leadership team, composed of committed and dynamic individuals, plays a crucial role in driving the organization towards achieving these goals, leveraging racial equity, social justice, and sustainability best practices.

    More About JAAA

    The Jahangirnagar University alums worldwide and their presence in Bangladesh, the USA (specifically New York), and Canada are not readily available from public data sources. However, based on general trends and alums network activities:

    1. Bangladesh:

    Most Jahangirnagar University alums reside in Bangladesh, the institution’s home country. Most alums are likely based in Dhaka and other major cities, contributing to various sectors like education, government, private industries, and non-profits.

    2. USA (including New York):

    Jahangirnagar University has an active alum presence in the USA, particularly in New York, where organizations like the Jahangirnagar Alumni Association of America (JAAA) are active. New York has a significant concentration of Bangladeshi expatriates, which includes a notable number of alums.

    3. Canada:

    There is also a growing alum presence in Canada, primarily in cities like Toronto and Vancouver, where many Bangladeshi professionals and families have settled.

    4. Global:

    Alums are scattered across various countries, including the UK, Australia, the Middle East, and parts of Europe, forming smaller but active communities.

    Building Professional and Personal Connections

    The Jahangirnagar Alumni Association of America (JAAA) provides a unique platform to connect professionals, educators, students, and community leaders from diverse fields. Networking at JAAA events can unlock opportunities for career growth, collaboration, and community service. The attendees, teachers, assistants, higher study students, private university teachers, city environment protection agency officers, local business owners, and philanthropists represent a wealth of experience and resources. 

    Networking at JAAA Events:

    1. Career Advancement

    • For educators: NYC public school teachers and private university professors can exchange teaching strategies, curriculum ideas, and resources to improve their methods.

    • For students: Higher study students can gain insights on career paths, internships, and research opportunities from seasoned professionals.

    2. Professional Development

    • City environment protection officers and teachers can collaborate on educational workshops about sustainability and climate change for students.

    • Business owners can offer insights on entrepreneurship and mentorship programs to aspiring professionals.

    3. Building Community Projects

    • Collaborations between philanthropists, local business owners, and educators can lead to impactful community projects like youth development initiatives, cultural events, and environmental campaigns.

    4. Expanding Personal Networks

    • Establishing connections across fields fosters community, bridging cultural and professional gaps. Alums with common interests can form partnerships to further shared goals.

    5. Mutual Support and Mentorship • Students and young professionals can find mentors among experienced alums. Likewise, established professionals benefit from fresh perspectives and innovative ideas younger members share.

  • Rich Cultural Representation by Alumni in the Last 10 Boishakhi Parades

    Rich Cultural Representation by Alumni in the Last 10 Boishakhi Parades

    Rich Cultural Representation by Alumni in the Last 10 Boishakhi Parades.

    Over the past decade, the alums of Jahangirnagar University, through the Jahangirnagar Alumni Association of America (JAAA), have been a driving force in promoting Bangladeshi culture in the heart of New York City. The Boishakhi Parade, an annual celebration of the Bangla New Year, has become a hallmark of cultural pride and unity. Organized with vibrant processions, traditional dhol performances, and displays of folk art, this event represents the resilience of Bangladeshi heritage amidst a globalized world.

    The last 10 Boishakhi parades have brought together diverse alums, children, and community members to celebrate traditions such as wearing colorful sarees and panjabis, enjoying panta-ilish, and performing traditional dances and songs. The parade is more than just a celebration—it is a statement of cultural pride, ensuring that the youth raised abroad connect to their roots and feel inspired to preserve them for future generations.

    Youth Empowerment Through Cultural Celebrations

    Beyond the Boishakhi Parade, alums have actively empowered youth by engaging them in various cultural and educational initiatives. The Winter Festival, International Mother Language Day, Summer Festival, and annual picnics are all key events where young individuals find a platform to express themselves, learn about their cultural identity, and build a sense of belonging.

    1. International Mother Language Day

    The alums’s celebration of International Mother Language Day has been pivotal in educating young people about the sacrifices of the 1952 Language Movement. Events feature art competitions, poetry recitations, and plays performed by students, emphasizing the value of linguistic and cultural diversity. These activities instill a sense of pride in heritage while raising awareness about the importance of preserving one’s mother tongue.

    2. Autumn/Winter Festival

    The Festival provides an opportunity to engage youth in showcasing folk traditions through music, dance, and art. Alums and young performers collaborate to create cultural programs, including theatrical performances based on Bangladeshi stories and themes. These experiences foster confidence and creativity in participants, especially the younger generation, who take center stage to represent their heritage.

    3. Summer Festival & Annual Picnic

    These events bring alums, families, and communities together in a relaxed and festive environment. Activities often include sporting events, traditional food fairs, and live music performances. Youth empowerment is a central theme, as children and young adults take part in organizing and performing, developing leadership skills and cultural appreciation.

    4. Boishakhi Summer Festival

    The Boishakhi Summer Festival builds upon the vibrancy of the New Year parade, extending the celebration into a multi-day event. With workshops on traditional crafts, music lessons, and storytelling, the festival is an immersive experience for participants of all ages. Alums ensure that the next generation learns to appreciate cultural heritage and actively participate in preserving it.

  • The Story of Jahangirnagar University: A Gem in Savar, Dhaka

    The Story of Jahangirnagar University: A Gem in Savar, Dhaka

    The Story of Jahangirnagar University: A Gem in Savar, Dhaka
    In Dhaka, Bangladesh, near the town of Savar, a dream to build a place where young minds could learn, grow, and shine was realized in 1970, when Jahangirnagar University was established.
    Why the Name “Jahangirnagar”?
    The university was named Jahangirnagar to honor Bangladesh’s rich history. During the Mughal era, the area near modern-day Dhaka was called Jahangirnagar, named after the Mughal Emperor Jahangir. It was a flourishing city with vibrant trade and culture, and the name carried a sense of pride and heritage. The university’s founders chose this name to celebrate the region’s glorious past while building a bright future.
    Where is Jahangirnagar University?
    Jahangirnagar University is located in Savar, just 32 kilometers northwest of Dhaka, the capital of Bangladesh. The campus is famous for its stunning natural beauty. Imagine a place with green fields, large trees, and peaceful lakes where birds sing, and flowers bloom. It’s like a paradise for learning!
    • The university is surrounded by wetlands that create a cool and refreshing environment, especially during the rainy season.
    • It’s close to the Bangabandhu Memorial Museum and the Savar National Martyrs’ Monument, which makes it a historically significant location.
    How It All Began
    When Jahangirnagar University was established, it started as a small university with only 150 students and a few teachers. It was called Jahangirnagar Muslim University, and classes were held in Bangla and English.
    But soon, the university opened its doors to everyone and dropped “Muslim” from its name. It became a home for students from all over Bangladesh, celebrating diversity and knowledge.
    A Green and Peaceful Campus
    One thing that makes Jahangirnagar University special is its environmental beauty.
    • The campus has numerous lakes where lotuses float, and ducks swim.
    • It’s known for its winter birds, as migratory birds come from far-off lands to visit the lakes every year.
    The university is also rich in flora and fauna, making it feel like a natural park where students can study and relax.
    Why is it Important?
    Jahangirnagar University is more than just a place to study. It’s a place where students learn to think, create, and grow. Over the years, it has become one of Bangladesh’s most prestigious universities, offering science, arts, and social studies education.
    Fun Facts:
    1. Residential University: All the students live on campus in beautiful dormitories, making it feel like one big family.
    2. Cultural Hub: The university celebrates events like Pohela Boishakh (Bangla New Year) with music, art, and parades.
    3. Eco-Friendly: The campus is known for being clean, green, and committed to protecting the environment.
    4. Winter Birds Festival: Every year, the arrival of migratory birds is celebrated, making it a unique event for students and visitors.
    A Place to Dream Big
    Jahangirnagar University stands tall as a symbol of education, culture, and natural beauty. It’s where students come with dreams in their hearts and leave with the knowledge and courage to change the world.
    So, this university’s story continues, inspiring generations to learn and grow while staying connected to their roots. Would you like to visit and see its beautiful lakes and birds one day? Maybe you’ll even want to study there!

  • Students Lives Matter

    Students Lives Matter

    Welcome to the Jahangirnagar Alumni Association of America (JAAA)
    Our mission is to build a dynamic and thriving community of Jahangirnagar University alumni across the United States. At JAAA, we are dedicated to uniting alums to foster meaningful connections, support one another, and bridge the bond between Bangladesh and America.

    We aim to strengthen this network by promoting educational excellence, celebrating cultural heritage, and inspiring social responsibility. Together, we strive to create a lasting impact that uplifts our community and honors Jahangirnagar University’s shared legacy.