The Braveheart of Dairy Farm Gate
The summer of 1971 was searing, not just from the heat but from the anguish of a nation under siege. The air near Jahangirnagar University was thick with the smell of gunpowder and the cries of freedom fighters echoing through the lush greenery. Among them was Titu, a young and courageous soul, barely 20, whose fiery spirit had made him a beacon of hope in the fight for liberation.
Titu was a student from a nearby village, well-known for his charisma and unwavering belief in an independent Bangladesh. When the war began, he left his books behind and joined the Mukti Bahini. The rolling fields and winding paths around Jahangirnagar became his battlefield, the place he vowed to defend with his life.
The Last Mission
By early December, the Mukti Bahini had received word that a convoy of the occupying forces was moving toward Savar to strengthen their hold on the Dhaka outskirts. The strategic Dairy Farm Gate near Jahangirnagar University had to be secured at all costs. Titu and his comrades, armed with outdated rifles and makeshift grenades, planned an ambush.
Titu knew the terrain well. The tall eucalyptus trees and the shimmering waters of the nearby lake provided natural cover. As dusk fell, the freedom fighters took their positions. The silence of the night was broken only by the distant hum of enemy trucks. Titu’s heart pounded, not with fear but with determination.
The Battle
The first truck appeared, headlights piercing the darkness. Titu gave the signal, and the ambush began. Gunfire erupted, cutting through the still night. The Mukti Bahini fighters, though outnumbered and outgunned, fought with ferocity. Titu, leading from the front, threw a grenade that struck a jeep carrying high-ranking officers, halting the convoy.
The enemy retaliated fiercely. Bullets ricocheted off the rocks and trees, and the air filled with smoke and cries. Titu’s comrades began to fall, one by one, but he held his ground. His eyes were set on the flag of Bangladesh tied to his rifle, a symbol of the freedom they were fighting for.
The Final Stand
As reinforcements arrived for the enemy, the Mukti Bahini fighters were forced to retreat. But Titu refused to leave. “If we give up this gate, they’ll march straight to Savar,” he shouted to his comrades. He positioned himself near the Dairy Farm Gate, his rifle aimed at the advancing soldiers.
The last rays of the sun lit up his face as he fired his final shots. A bullet struck his shoulder, but he kept fighting. Another hit his leg, and he fell to the ground. Yet, even as his life ebbed away, Titu dragged himself to a tree and aimed one last grenade at the enemy. It exploded with a deafening roar, halting their advance.
Titu’s lifeless body lay under the shade of the eucalyptus trees, the flag of Bangladesh still clenched in his hand.
The Legacy
When dawn broke the next day, the people of nearby villages came to know of Titu’s sacrifice. They carried his body to a small hill near Jahangirnagar University, burying him with honor. The Dairy Farm Gate became a symbol of resistance, its soil soaked with the blood of a young hero.
Titu’s story spread like wildfire, inspiring others to join the fight. His name became a rallying cry for freedom, a reminder of the price paid for an independent Bangladesh.
Even today, near the Dairy Farm Gate of Jahangirnagar University, locals speak of Titu—the boy who gave his all for his country. The wind through the eucalyptus trees carries his name, a whisper of courage, sacrifice, and undying love for the motherland.
ডেইরি ফার্ম গেটের বীরযোদ্ধা
১৯৭১ সালের গ্রীষ্ম ছিল অসহ্য, শুধু তাপমাত্রার জন্য নয়, বরং একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির যন্ত্রণা এবং লড়াইয়ের জন্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা তখন বারুদ আর মুক্তিযোদ্ধাদের গর্জনে ভরপুর। সেইসব মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন টিটু—a যুবক, মাত্র ২০ বছর বয়সী, যার সাহস এবং প্রত্যয় তাকে স্বাধীনতার লড়াইয়ের এক অগ্নিস্ফুলিঙ্গে পরিণত করেছিল।
টিটু ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গ্রামের এক ছাত্র। তার নেতৃত্ব আর বাংলাদেশকে মুক্ত করার দৃঢ় বিশ্বাস তাকে সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছিল। যুদ্ধ শুরু হলে তিনি বই-খাতা ফেলে রেখে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। জাহাঙ্গীরনগরের সবুজ মাঠ আর আঁকাবাঁকা পথগুলো তার যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে, যেখানে তিনি প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন।
শেষ মিশন
ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিবাহিনী জানতে পারে যে দখলদার বাহিনীর একটি কনভয় সাভারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি ফার্ম গেট ছিল কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি রক্ষা করা ছিল অপরিহার্য। টিটু এবং তার সহযোদ্ধারা পুরনো রাইফেল আর হাতে বানানো গ্রেনেড নিয়ে একটি অ্যাম্বুশ পরিকল্পনা করেন।
টিটু এলাকার প্রতিটি বাঁক ভালোভাবে চিনতেন। ইউক্যালিপটাস গাছের সারি আর পাশের লেকের জল তাদের আড়াল হিসেবে কাজ করেছিল। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা নিজেদের অবস্থান গ্রহণ করেন। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে যায় শত্রুদের ট্রাকের শব্দে। টিটুর হৃদয় বেজে ওঠে, কিন্তু সেটি ছিল ভয়ের নয়, বরং দৃঢ়তার।
যুদ্ধ
প্রথম ট্রাকটি দেখা যেতেই টিটু ইশারা দিলেন, এবং অ্যাম্বুশ শুরু হলো। গুলি আর বারুদের শব্দে রাত ভরে ওঠে। মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধারা সংখ্যায় কম এবং অস্ত্রে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও অসীম সাহসে যুদ্ধ করলেন। সামনের সারিতে থাকা টিটু একটি গ্রেনেড ছুড়ে শত্রুদের একটি জিপ ধ্বংস করলেন, কনভয়ের অগ্রগতি থামিয়ে দিলেন।
শত্রুপক্ষ পাল্টা আক্রমণ চালায়। গুলি পাথর আর গাছে লেগে ছিটকে পড়ে, এবং বাতাস ধোঁয়া আর চিৎকারে ভরে যায়। একে একে টিটুর সহযোদ্ধারা শহীদ হন, কিন্তু তিনি নিজের অবস্থান ছাড়েননি। তার চোখ ছিল তার রাইফেলে বাঁধা বাংলাদেশের পতাকার দিকে, যা তাদের লড়াইয়ের প্রতীক।
শেষ লড়াই
যখন শত্রুপক্ষের আরও সৈন্য আসে, তখন মুক্তিবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু টিটু থেকে যান। তিনি বলেন, “যদি আমরা এই গেট ছেড়ে দিই, তারা সরাসরি সাভারে পৌঁছে যাবে।” তিনি ডেইরি ফার্ম গেটের কাছে নিজের অবস্থান নেন, তার রাইফেল শত্রুদের দিকে তাক করা।
শেষ বিকেলের সূর্যের আলো তার মুখ আলোকিত করে, যখন তিনি শেষ গুলি ছোঁড়েন। একটি বুলেট তার কাঁধে লাগে, কিন্তু তিনি লড়াই চালিয়ে যান। আরেকটি বুলেট তার পায়ে আঘাত করে, এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান। তবুও, জীবনের শেষ শক্তি দিয়ে, টিটু নিজেকে একটি গাছের পাশে টেনে নিয়ে যান এবং একটি গ্রেনেড ছুঁড়ে দেন। গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়ে শত্রুদের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়।
ইউক্যালিপটাস গাছের ছায়ায় টিটুর নিথর দেহ পড়ে থাকে। তার হাতে তখনও শক্তভাবে ধরা বাংলাদেশের পতাকা।
উত্তরাধিকার
পরের দিন সকালে, আশপাশের গ্রামের মানুষ টিটুর আত্মত্যাগের কথা জানতে পারেন। তারা তার দেহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি এক ছোট্ট টিলায় সম্মানের সাথে সমাহিত করেন। ডেইরি ফার্ম গেট প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠে, যেখানে এক যুবকের রক্ত মিশে আছে।
টিটুর গল্প দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, আরও অনেককে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করে। তার নাম হয়ে ওঠে স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের মন্ত্র, একটি জাতির মুক্তির জন্য দেয়া সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্মারক।
আজও, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি ফার্ম গেটের কাছে স্থানীয়রা টিটুর গল্প বলেন। বাতাসে ইউক্যালিপটাস গাছের পাতার ফিসফিসে ধ্বনি টিটুর নাম বয়ে আনে। সেই নাম আজও সাহস, আত্মত্যাগ এবং মাতৃভূমির প্রতি অমর ভালোবাসার প্রতীক।