ঝরা পাতার কাব্য জানালো শীতের আগমনী বার্তা। গরম গরম পিঠার সুগন্ধ; যেন সবাইকে টেনে নিয়ে এসেছিল ভেন্যুর পিঠা স্টলে

Jhora Patar Kabyo

ঝরা পাতার কাব্য: পিঠার কারিশমা

JAAA-এর “ঝরা পাতার কাব্য” জানালো শীতের আগমনী বার্তা। গরম গরম পিঠার সুগন্ধ; যেন সবাইকে টেনে নিয়ে এসেছিল ভেন্যুর পিঠা স্টলে। বিশেষ আকর্ষণ ছিল অন স্পট ভাপা পিঠা। ঘটনার এমন পরিহাস, হঠাৎ করেই শুরু হলো এক অবিশ্বাস্য ঘটনা—ভাপা পিঠা একের পর এক অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে!

শুরুতে কেউ কিছু বুঝতে পারছিল না। ভেবেছিল, হয়তো পিঠা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আয়োজকদের তো স্পষ্ট মনে আছে, অনেকগুলো পিঠা রাখা হয়েছিল। একজন আক্ষেপ করে বললেন, “এই মাত্র আমার জন্য একটা ভাপা পিঠা প্লেটে রেখেছিলাম, ফিরে দেখি শুধু প্লেট আছে, পিঠা নেই!”

আরেকজন বললেন, “আমি তো পিঠা নিতেই যাচ্ছিলাম, কিন্তু দেখলাম পুরো টেবিল ফাঁকা। এটা কিভাবে সম্ভব?” পিঠা উধাও ঘটনাটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলো। একজন আয়োজক মজা করে বললেন, “হয়তো পিঠার এতই জনপ্রিয়তা হয়েছে যে তারা নিজেরাই উড়ে গেছে!”

একজন উপস্থিত শিশুর চোখে হাসির ঝিলিক। সে বলল, “আমার মনে হয় কেউ চুরি করেছে!” শিশুটির সরল কথা সবাইকে ভাবিয়ে তুলল। কয়েকজন মজা করে অনেক পিঠা পেলেন, আর এতে বাকিদের জন্য পিঠা শেষ হয়ে গেল।

কয়েকজন উৎসুক খোঁজাখুঁজির পর  আবিষ্কার করলো টেবিলের নিচে পিঠা সংরক্ষণ পদ্ধতি ! তারা ভাবেননি যে এই কাজটি পুরো অনুষ্ঠানের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

আমাদের ছোটো কাজগুলোরও বড় প্রভাব থাকতে পারে।

Comments

One response to “ঝরা পাতার কাব্য জানালো শীতের আগমনী বার্তা। গরম গরম পিঠার সুগন্ধ; যেন সবাইকে টেনে নিয়ে এসেছিল ভেন্যুর পিঠা স্টলে”

  1. J3A Avatar
    J3A

    হ্যালো, জাবিয়ানরা! কিছু জায়গা শিখায়, কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) তোমাকে শেখায় ভুলে যেতে—পূর্বধারণা, স্টেরিওটাইপ, আর সমাজ যে নিয়ম চাপিয়ে দিয়েছে সেগুলো ভাঙতে। এখানে সংস্কৃতি, সহনশীলতা আর প্রতিবাদ একসাথে মিশে যায়।

    জাবিতে পুরনো বিশ্বাস ভেঙে পড়ে, নতুন চিন্তার জন্ম হয়। এটা সেই জায়গা, যেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থামেনা, যেখানে নারীরা নির্ভয়ে রাত-বিরাতে চলাফেরা করে, আর যেখানে বৈচিত্র্য শুধু উদযাপিত হয় না—এটা জীবনের অংশ।

    গতকালই ক্যাম্পাসে সাঁওতালদের বাহা বঙ্গা পরব, হোলি আর ইফতার একসাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে—কোনো বিভাজন নয়, শুধু সম্প্রীতি।

    তিরিশ বছর আগে প্রথমবার এই ক্যাম্পাসে পা রেখেছিলাম, আর আজও মনে হয়—“জাবি আমার জীবনে আসাতে আমি কৃতজ্ঞ!”

    J3A, জাবি ইনসাইডার।

Leave a Reply to J3A Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *